জামিনে মুক্ত হয়ে কারাগার থেকে বের হলেন রোজিনা ইসলাম।
বি এ রায়হান, গাজীপুর অবশেষে জামিনে মুক্ত হয়ে কারাগার থেকে বের হলেন দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকা রোজিনা ইসলাম দুটি শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি শেষে রোববার (২৩ মে) তাকে জামিন দেন আদালত। এরপর জামিন আদেশ কাশিমপুর কারাগারে পৌছালে বেলা সোয়া ৪টার দিকে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক উপ-সচিবের দায়ের করা মামলায় বুধবার (১৯ মে) বিকেলে অনেক নাটকীয়তার পর রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহর ভার্চ্যুয়াল আদালতে জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেছিলেন। ৫ হাজার টাকা বন্ড ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে ২০ মে রোজিনার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, আমিনুল গণি টিটো, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আশরাফ উল আলম ও প্রশান্ত কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন জামিনের বিরোধিতা করেন। এ সময় তারা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিবের রুমে থাকা অবস্থায় রোজিনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে রোজিনাকে বলতে শোনা যায় আমি ভুল করেছি, আমি মুচলেকা দেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি দাখিল করতে সময় চেয়ে জামিন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আসামিপক্ষ সময় আবেদনের বিরোধিতা করে ওইদিনই জামিন বিষয়ে আদেশের আর্জি জানান। আজ রোজিনা ইসলামের জামিন আদেশের পর বেলা তিনটার দিকে তাকে নিতে একটি মাইক্রোবাসে করে পরিবারের সাতজন সদস্য কারা ফটকে উপস্থিত হন। তারা হলেন- বোন লিনা আক্তার, দেবর জহিরুল ইসলাম, ভগ্নিপতি প্রিন্স জাকারিয়া, ভাগ্নি মারিয়া রাউকি, সাংরিল ও ননদ রোজি আক্তার।